
মুরাদনগর প্রতিনিধি
শিশু মীমকে হত্যার পর জানাজা দাফনেও অংশ নেয় ঘাতক পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক নির্মম খুনির বীভৎসতা। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন সিমানারপাড় গ্রামের ৬ বছর বয়সী শিশু আদিবা জাহান মীমকে হত্যার অভিযোগে তার চাচাতো ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য কুমিল্লার ১১নং আমলী আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক আবিদা সুলতানা মলি আসামি আবদুল্লাহ’র ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে শিশু আদিবা জাহান মীম নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এর ৬ দিন পর গত ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে হাত ও গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় মীমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকান্ডের ১২ দিন পর বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ মূল অভিযুক্ত আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে সোমবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সে মীমের চাচাতো ভাই এবং সিমানারপাড় গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে।
এই ঘটনার সবচেয়ে মর্মান্তিক দিকটি হলো হত্যাকারী আব্দুল্লাহ নিজেই আদিবার নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে অংশ নেয়। এমনকি, আদিবার মরদেহ উদ্ধারের পর তার জানাজা ও দাফন-কাফনের সকল কাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। শুধু তাই নয়, হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলেও অংশ নিয়েছিল সে। এই জঘন্য ভণ্ডামি ও নিষ্ঠুরতা স্থানীয়দের মধ্যে গভীর ঘৃণা ও বিতৃষ্ণার জন্ম দিয়েছে।
শিশু মীমের এমন নির্মম পরিণতিতে এলাকাবাসী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়। এই জঘন্য অপরাধের জন্য তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কের পবিত্রতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।